ধর্ষণ মামলায় আশরাফ হাকিমিকে বিচারের মুখে ঠেলে দিলেন ফরাসি কৌঁসুলিরা
২০২৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমিকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন ফরাসি কৌঁসুলিরা। যদিও মরক্কোর এই ডানপাশের ডিফেন্ডার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শুরু থেকেই।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে নঁতের কৌঁসুলি অফিস জানায়, মামলাটি ফৌজদারি আদালতে পাঠানোর জন্য তদন্ত-নির্বাহী বিচারকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। কৌঁসুলিদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তদন্তে নিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট।
২০২৩ সালের মার্চে হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগকারীর দাবি, ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের উপকণ্ঠ বুলান-বিয়ানকুতে হাকিমির বাসায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং যাওয়ার ট্যাক্সি ভাড়াও দেন হাকিমি। সেদিন হাকিমির স্ত্রী ও সন্তান ছিলেন দেশের বাইরে। এরপর ওই নারী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে, হাকিমি তাঁর সম্মতি ছাড়াই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। যদিও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেননি, তবে ফরাসি কৌঁসুলিরা ঘটনাটিকে যথেষ্ট মনে করে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগকারী নারী পুলিশকে আরও জানান, হাকিমির সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে। ঘটনার সময় তিনি এক বন্ধুকে এসএমএস করে ডেকে নেন, যিনি পরবর্তীতে তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যান।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হাকিমির আইনজীবী ফ্যানি কোলিন কৌঁসুলিদের সিদ্ধান্তকে “অযৌক্তিক ও অর্থহীন” বলে মন্তব্য করেন। তাঁর ভাষ্য, “আমরা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপেই আছি এবং যথাযথ আইনি পথেই এগোব। আমার মক্কেল পরিকল্পিতভাবে ভুল অভিযোগের শিকার হয়েছেন।”
অন্যদিকে, অভিযোগকারী নারীর আইনজীবী র্যাচেল-ফ্লোর প্রাদো বলেন, “এই মামলায় কোনো ভিত্তিহীন দাবির উপাদান নেই। আমার মক্কেল হাকিমিকে বিচারের মুখোমুখি করার খবর পেয়ে স্বস্তি পেয়েছেন।”
পিএসজির হয়ে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ৫–০ গোলের জয়ে বড় অবদান রাখেন হাকিমি। এ ছাড়া ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর ঐতিহাসিক সেমিফাইনালে ওঠার পেছনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
মাদ্রিদের হেতাফেতে জন্ম নেওয়া হাকিমির বেড়ে ওঠা রিয়াল মাদ্রিদের বয়সভিত্তিক দলে। এরপর বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও ইন্টার মিলান ঘুরে তিনি এখন প্যারিসের ক্লাব পিএসজির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
Comments
Post a Comment