প্রকাশ হল চাঞ্চল্যকর তথ্য জয় যেভাবে হাসিনার ক্যারিয়ার শেষ করে দিচ্ছে
রাজনীতির মঞ্চে যখন পর্দা নামার সময় ঘনিয়ে আসে, তখন প্রত্যাশা থাকে সম্মানজনক বিদায়ের। কিন্তু যদি সেই মঞ্চ ভেঙে পড়ে কাছের কোনো হাতেই— তাহলে তা শুধু একটি রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান নয়, হয়ে ওঠে ইতিহাসের এক নির্মম মোড়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘ, ঘটনাবহুল, এবং নানা অর্জনে পরিপূর্ণ। কিন্তু সেই জীবনপ্রবাহে হঠাৎ করেই যেন এক অদৃশ্য ঢেউ তুলে দিয়েছেন তার একমাত্র সন্তান, সজীব ওয়াজেদ জয়।
"ঘরের শত্রু বিভীষণ"— এই কথাটি অনেকেই এখন ব্যবহার করছেন জয়ের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তা বিশ্লেষণ করে। তিনি হয়তো চেয়েছিলেন নিজের ভাষ্যে মা’কে রক্ষা করতে, কিন্তু তার অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া যেন ঘিরে ফেলেছে পুরো রাজনীতিকে আরও জটিলতায়।
৫ আগস্টের পর থেকে সবকিছু বদলাতে শুরু করে। শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ, এবং এরপর জয় যখন ঘোষণা দেন— “আমার মা রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন”— তখন যেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিত নড়ে ওঠে। এক পলকে ভেঙে পড়ে নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস, অনেকে বিশ্বাসই করতে পারেননি— এমনও কি হতে পারে?
ঠিক এই সময়েই আসে আরও বড় এক ধাক্কা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রকাশ করে একটি অডিও রিপোর্ট, যেখানে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে শোনা যায় বলে দাবি করা হয়। জয় প্রথমে বলেন, এটি ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান ঘটনার সময়কার। কিছুক্ষণ পরেই আবার বলেন, এটি এআই দিয়ে তৈরি।
এমন বিপরীতমুখী ব্যাখ্যায় সাধারণ মানুষ তো বটেই, নিজ দলের নেতাকর্মীরাও পড়ে যান দ্বিধায়। প্রশ্ন জাগে— সত্যটা তাহলে কী?
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, জয়ের এই বিভ্রান্তিকর প্রতিক্রিয়া পরোক্ষভাবে যেন মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়— হ্যাঁ, অডিওতে কণ্ঠ তার মায়েরই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক সমালোচক লিখেছেন,“মায়ের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ কি বাইরের কেউ? নাকি ঘরের কেউই?”
এই প্রশ্নটি যেন এখন দলটির প্রতিটি স্তরের মনের কোণে গেঁথে গেছে।
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অধ্যায়ের শেষ অংশে যখন দলকে প্রয়োজন ছিল সুসংগঠিত বার্তা, একতা এবং কৌশলের— তখন জয়ের বক্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তি, আত্মঘাতী ব্যাখ্যা এবং রাজনৈতিক বারুদের স্তুপ।
Comments
Post a Comment