অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট একাদশে জায়গা না পাওয়া নিয়ে খোলাখুলি বললেন নাথান লায়ন
তৃতীয় ও শেষ টেস্টে চার পেসার—মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড ও স্কট বোল্যান্ডকে একাদশে রেখে চমক দেখায় অজিরা। এ নিয়ে প্রথমবারের মতো একাদশের বাইরে বসে থাকতে হয় লায়নকে।
সম্প্রতি প্রথমবার এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলেন ৩৭ বছর বয়সী লায়ন। নিজের হতাশা গোপন না করে তিনি বলেন,
“সিদ্ধান্তটি নিয়ে হতাশ হয়েছিলাম, এটা লুকানোর কিছু নেই। তবে আমি বুঝতে পেরেছি কেন এটা করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যেকোনো কন্ডিশনে অবদান রাখতে পারি। আর স্টার্কের সঙ্গে শততম টেস্টে মাঠে নামতে না পারাটা সত্যি দুঃখজনক ছিল। আমরা একসঙ্গে ৯০টির বেশি ম্যাচ খেলেছি। তারপরও আমি দলের অংশ ছিলাম, পানি টেনেছি—এটা আমার দায়িত্ব ছিল।”
সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে ৯ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রেখেছিলেন লায়ন। তবে তৃতীয় টেস্টে জায়গা পাওয়া স্কট বোল্যান্ড দারুণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে হ্যাটট্রিকসহ দুর্দান্ত বোলিং করেন। মিচেল স্টার্কও মাত্র ৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে আলো ছড়ান। ফলে পেসারদের আগুনে বোলিংয়ে ২৭ রানে গুঁড়িয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
লায়ন বলেন,
“স্কট বোল্যান্ডকে পারফর্ম করতে দেখা আনন্দের। হ্যাটট্রিকসহ ওর সেরা ছন্দে থাকা দারুণ ছিল। তাদের ২৭ রানে অলআউট হতে দেখা ছিল এককথায় অসাধারণ।”
গোলাপি বলের টেস্টে লায়নের অতীত রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। হোবার্টে অ্যাশেজে এক বলও না করেই ম্যাচ শেষ করেছিলেন তিনি, আর অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন মাত্র এক ওভার।
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজে কি লায়ন একাদশে থাকবেন? তবে অভিজ্ঞ এই স্পিনার আত্মবিশ্বাসী, তিনি বলেন—
“আমি নিজের ভূমিকা জানি। ওই ম্যাচে বাদ পড়াটা পুরোপুরি কন্ডিশনের কারণেই ছিল। এখন ফিটনেস আর স্কিলের দিক থেকে নিজেকে প্রস্তুত করছি। শেফিল্ড শিল্ডের প্রথম তিন ম্যাচ এবং পার্থ টেস্টে মনোযোগ দিচ্ছি। পার্থসহ অস্ট্রেলিয়ার সব উইকেটেই বোলিং করতে ভালোবাসি। তাই আমার কোনো সন্দেহ নেই।”
উল্লেখ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারানোর পর ওয়ানডে সিরিজেও ৫-০ ব্যবধানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
Comments
Post a Comment