যে কারনে তৃতীয় দিনের খেলা নির্ধারিত সময়ের আগে শুরু হবে

 

গল টেস্টে টানা দুই দিন ব্যাট করেও ৫০০ রান ছুঁতে পারল না বাংলাদেশ। যদিও টাইগাররা দাবি করতেই পারে, দুই দিনে যে ১৮০ ওভার হওয়ার কথা, সেখানে খেলা হয়েছে মাত্র ১৫১ ওভার—বৃষ্টির কারণে কম বল ভেসে যায়নি। তবে যতটা সম্ভব পুষিয়ে নিতে তৃতীয় দিন খেলা শুরু হবে ১৫ মিনিট আগে।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য এটি পুরোপুরি স্বস্তির বিষয় নয়। আরও অস্বস্তির কারণ, স্কোরবোর্ডে রান এখনও ৫০০ হলো না। এরই মধ্যে গল টেস্টের পারফরম্যান্স অবশ্য দীর্ঘদিন মনে রাখার মতো। মুশফিকুর রহিমের ১৬৩, নাজমুল হোসেন শান্তর ১৪৮ এবং লিটন দাসের ৯০ রানের ইনিংস বহুল প্রতীক্ষিত তৃপ্তি দিয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারানোর রোগটা না থাকলে এই মুহূর্তে জয়ের আশা আরও তীব্র হতো।

সেই আশা এখন ক্ষীণ হয়ে গেছে, এমন বলারও অবশ্য সুযোগ নেই। ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৮৪ রান করে লঙ্কানদের ১৫১ ওভার খাটিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ জয়ের সব ধরনের লক্ষণই আছে টাইগারদের। তবে ৪ উইকেটে ৪৫৮ রান থেকে ৪৮৪ রানেই ৯ম উইকেটের পতন—এ যেন হাতের লক্ষ্মী রীতিমতো পায়ে ঠেলার মতো ঘটনা।

আর এক উইকেট পেলেই শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে অলআউট করবে। এত খাটুনির পর তা হবে স্বাগতিকদের জন্য এক অর্জন। অবশ্য যদি না বাংলাদেশ মাঠে নামার আগে ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়।

স্থানীয় সময় প্রতিদিন সকাল ১০টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল পৌনে দশটায়, অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া দশটায়। যদি শুরুর এই ১৫ মিনিটেই বাংলাদেশের বাকি একটি উইকেট তুলে নেওয়া যায়, তাহলে প্রায়োগিক অর্থে তৃতীয় দিনের পুরোটাই নিজেদের ব্যাটিংয়ের জন্য পাবে শ্রীলঙ্কা। সামনে আরও দুটি দিন রেখে তখন হিসেবনিকেশ কষতেও নিশ্চয়ই সহজ হবে। তবে মুশফিক, শান্ত আর লিটনের এই দুর্দান্ত ইনিংসগুলো যেটুকু ক্ষত উপহার দিয়েছে লঙ্কানদের, ব্যাটিংয়ে আহামরি ভালো না করলে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার চালকের আসনে বসা খুবই দুরূহ।

গল টেস্টের এই পরিস্থিতি নিয়ে আপনার কী মনে হয়? বাংলাদেশ কি শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলতে পারবে, নাকি শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়াবে?