কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে বাফুফে বাফুফেতে তোলপাড়, জানালো বিদায়ের দিন তারিখ



 সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পর থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ট্যাকটিকস এবং দল নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক কাটাছেঁড়া। দেশি কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু ও এমিলিসহ অনেকেই প্রকাশ্যে কোচের সমালোচনা করেছেন। তারা কাজেম শাহের অন্তর্ভুক্তি এবং উইঙ্গার রাকিব হোসেনকে 'নাম্বার নাইন'-এ খেলিয়ে তার কার্যকারিতা নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছেন। অনেকে বিস্মিত হয়েছেন ওই ম্যাচের দু'দিন আগে ভাই হারানোর শোকে মুহ্যমান থাকা মিতুল মারমাকে গোলপোস্ট আগলাতে দেখে।


বাইরে সমালোচনার পাশাপাশি বাফুফের ভেতরেও কোচবিরোধী ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে, যা প্রকাশ্যে আসে ১৪ জুন (শুক্রবার) রাওয়া কমিউনিটি সেন্টারে বাফুফের সংবাদ সম্মেলনে। নির্বাহী সদস্য শাখাওয়াত হোসেন শাহীন হঠাৎ করে "দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির জন্য" কাবরেরার পদত্যাগ দাবি করেন। তার এই মন্তব্যে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল দৃশ্যত বিব্রত হন। তিনি বলেন, "এটা (এমন কথা) খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ব্যাপারটা (কোচের বিষয়টা) আমাদের ভেতরে আলোচনা হবে।" তবে কোচকে রাখা বা সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সভাপতি কিছুই স্পষ্ট করেননি।



অনেকে মনে করেন কোচের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে। এই উপ-কমিটির প্রধান স্বয়ং বাফুফে সভাপতি। সিঙ্গাপুরের ম্যাচটি তিনি দেখেছেন এবং তার নিজস্ব কিছু চিন্তা-ভাবনাও থাকতে পারে। এই উপ-কমিটির কো-চেয়ারম্যান পদে আছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তারও নিজস্ব কিছু পর্যবেক্ষণ আছে, তবে সেগুলো তিনি ওই উপ-কমিটির সভায় আলোচনা করতে চান। ইমরুল হাসান বলেন, "আমাদের সভায় নিশ্চয়ই সিঙ্গাপুর ম্যাচের পারফরম্যান্স এবং কোচের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে, তার ভিত্তিতেই একটা সিদ্ধান্ত হবে।"


তবে এটাও ঠিক, কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে সরাসরি প্রশ্নের মুখে ফেলার সুযোগ এখন নেই। সিঙ্গাপুরের ম্যাচ শেষ হওয়ার পরদিনই তিনি স্পেন ফিরে গেছেন। তার সঙ্গে নতুন চুক্তিটাই এমন—ঘরোয়া খেলা থাকলে দল নির্বাচনের জন্য তিনি এখানে থাকবেন। খেলা না থাকলে তার এখানে থাকার দরকার নেই। কেবল জাতীয় দলের ম্যাচের আগে অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য তিনি ঢাকায় ফিরবেন।


প্রশ্ন হচ্ছে, কাবরেরার আবার ঢাকায় ফেরার সুযোগ আছে কিনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখলে মনে হবে, ইতিমধ্যেই তার চাকরি গেছে এবং নতুন কোচের নামও ভাসছে সেখানে। তবে বাফুফের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানাচ্ছে, সভাপতি এখনই কোচ ছাঁটাই করতে চান না। যদিও নতুন চুক্তিতে ছাঁটাই করলে কোচকে আগের মতো বাকি ১০ মাসের বেতন দিতে হবে না, মাত্র এক মাসের বাড়তি বেতন দিলেই চলবে। কিন্তু বাফুফে সভাপতি হংকং ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান।


আগামী ৯ অক্টোবর হংকংয়ের সঙ্গে ঢাকায় হোম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ রয়েছে। এই দুটো ম্যাচেও কোচের পারফরম্যান্স দেখতে চান বাফুফে সভাপতি। অর্থাৎ, আপাতত কাবরেরা টিকে যাচ্ছেন।


Comments

Popular posts from this blog

৩ ওভারে ২৪ রান দেওয়া মুস্তাফিজকে নিয়ে যা বললেন অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল

৯২ মিনিটে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, পেনাল্টি ছিল নাকি জানালেন ফিফার স্বীকৃত রেফারি

টি২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০ নাম্বারে থাকা বাংলাদেশকে ১ নাম্বারে আনতে নতুন সভাপতি বুলবুল স্কোয়াডে আনছে ১ জন অবহেলিত হার্ড হিটারকে