ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে যে ঘোষণা দিল হামাস
এতদিন ইরানে ইসরায়েলকে পরোক্ষভাবে মদদ দিলেও, এবার যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানের ওপর সামরিক হামলা চালিয়েছে। ওয়াশিংটন ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার ঘোষণা দেন। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
হামাস এক বিবৃতিতে ইরানের ওপর মার্কিন হামলাকে 'প্রকাশ্য আগ্রাসন' হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি।
উল্লেখ্য, হামাস বর্তমানে গাজায় নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার জবাব দিচ্ছে এবং ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য সৈন্যকে আটক করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো হামাসের কার্যক্রমকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে, যে কারণে প্রতিনিয়ত তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
ইরানে হামলা চালানোর পর ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, "হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য গত আট দিনে আমরা যা দেখেছি তার চেয়েও অনেক বড় ট্র্যাজেডি হবে।"
তিনি আরও বলেন, "মনে রাখবেন, এখনো অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি আছে। আজ (শনিবার) রাতের হামলা ছিল সবচেয়ে কঠিন ও এখন পর্যন্ত সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক। কিন্তু যদি শান্তি দ্রুত না আসে, তাহলে আমরা নির্ভুলতা, দ্রুততা এবং দক্ষতার সঙ্গে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাব।"
এর আগে, স্থানীয় সময় শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তার দেশ ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে—সফল হামলা সম্পন্ন করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরানে চালানো এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান অংশ নিয়েছে।
ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, "আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে—খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। হামলার পর মার্কিন সব বোমারু বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।"
এই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠেছে, যা বিশ্বজুড়ে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
Comments
Post a Comment