হামলার বিস্তারিত জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে যা জানালো ভারত
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টায় একটি জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে তারা, যেখানে আলোচিত ‘অপারেশন সিন্দর’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে তার আগেই এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের ভেতরে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।
এনডিটিভির বরাতে জানা গেছে, এই অভিযানকে ভারতের ইতিহাসে গত পাঁচ দশকের অন্যতম গভীর সামরিক অভিযান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নয়াদিল্লির দাবি, অভিযানে জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) ও লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) সংশ্লিষ্ট ঘাঁটিগুলোতে সফলভাবে আঘাত হানা হয়েছে, যেগুলো ভারতীয় ভূখণ্ডে হামলার পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার শিকারদের প্রতিশোধ নিতেই ‘অপারেশন সিন্দর’ চালানো হয়েছে। ওই হামলার সঙ্গে জইশ ও লস্কর নেতাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেয় ভারত।
সূত্র অনুযায়ী, অভিযানে নয়টি শিবিরে সফলভাবে আঘাত হানা হয়েছে—যার মধ্যে চারটি ছিল পাকিস্তানে এবং পাঁচটি জম্মু ও কাশ্মীরের পাক-অধিকৃত অংশে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বিতভাবে পরিচালিত এই অভিযান ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযানের লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ঘাঁটি; কোনো ধরনের পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়নি। ভারতের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা ধৈর্য ও কৌশলগত হিসাব-নিকাশ করে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানের সেনারা বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, এতে তিনজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব হিসেবে ‘অপারেশন সিন্দর’ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত।
এই বিষয়ে ভারতের আসন্ন সংবাদ সম্মেলন ঘিরে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করছে।
Comments
Post a Comment