ফারুককে সরিয়ে দেওয়ার যে ব্যাখ্যা দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিক অবনতির কারণেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে—এমনটাই জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি পরিষ্কার করে বলেন, কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নয়, বরং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণেই এই পরিবর্তন।
শনিবার পল্টন হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে জাতীয় হ্যান্ডবল ফাইনাল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন:
“বিসিবির গঠনতন্ত্র ও আইসিসির নিয়ম মেনেই ফারুক আহমেদকে সরানো হয়েছে। কোনো জোর করে অপসারণ নয়। নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলামও নিয়ম মেনেই দায়িত্ব পেয়েছেন।”
“এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতে। এরপর থেকেই পারফরম্যান্সে ধারাবাহিক অবনতি। আমাদের মূল্যায়ন করতে হয় পারফরম্যান্স দিয়ে—সেটাই আশানুরূপ হয়নি।”
বিপিএলের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তও ফারুকের অপসারণে প্রভাব ফেলেছে বলে জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি বলেন:
“দুর্বার রাজশাহী দল গঠনে আমাদের আশঙ্কা ছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছে এককভাবে। পরে সরকারকেই খেলোয়াড়দের বেতন ও হোটেল খরচ বহন করতে হয়েছে—যা বিসিবির জন্য লজ্জার বিষয়।”
“এই পরিস্থিতিতে ফাইনালে প্রধান উপদেষ্টা পর্যন্ত আসতে পারেননি।”
“ক্রিকেট একটা টিম গেম, কিন্তু বিসিবির ভেতরে টিমওয়ার্ক হয়নি। বোর্ড পরিচালকদের কেউই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলেন না। এই বিভাজনও পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।”
ফারুক আহমেদ দাবি করেছেন, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন:
“ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। কেউ যেন মনে না করে, হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
“ফারুক আহমেদকে অপসারণ করা হয়নি, বরং তাঁর বোর্ড পরিচালকের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী সভাপতির পদটিও চলে গেছে।”
“আইসিসির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম নিজেও আইসিসির সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আইসিসিও বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।”
“এই সিদ্ধান্ত সবার জন্য বার্তা—আমি নিজেও যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হই, আমাকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।”
“আমি দায়িত্বে থাকতে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ডুবে যেতে দিতে পারি না।”
Comments
Post a Comment