ভারতের মিসাইলের মজুত ধ্বংস করল পাকিস্তান, আরও যা ক্ষতি হলো
ভারতের সামরিক হামলার জবাবে পাল্টা প্রতিশোধমূলক আঘাত হেনেছে পাকিস্তান—এমনটাই দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের বিয়াস অঞ্চলে দূরপাল্লার অত্যাধুনিক ব্রাহ্মোস মিসাইলের ডিপো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উধমপুর বিমানঘাঁটি ধ্বংস এবং পাঠানকোট বিমানঘাঁটি অকার্যকর করে দেওয়ারও দাবি করেছে পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্র।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ভারত যদি আরও পাল্টা হামলার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের অর্থনৈতিক অবকাঠামোকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে।
পাকিস্তানের দাবি, ভারত প্রথমে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি, সরকোটের রফিকি বিমানঘাঁটি এবং চকওয়ালের মোরাইদ ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এরপরই পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’ নামে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সূত্রে আরও জানা যায়, অভিযানের অংশ হিসেবে ভারতের জি-টপ এলাকার একটি ব্রিগেড সদর দফতর এবং উরি অঞ্চলের একটি রসদ ডিপো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় বাহিনীর রসদ সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দাবি—আদমপুর বিমানঘাঁটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়ার। পাকিস্তান দাবি করছে, এই ঘাঁটি থেকেই অমৃতসর, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছিল।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের হামলায় একযোগে একাধিক উচ্চ-মূল্যের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে এবং তা শত্রুপক্ষের জন্য ‘গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি’ বয়ে এনেছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব ভারতকে স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, যেকোনো নতুন উসকানির পরিণতি হবে চরম ও ব্যাপক।
এদিকে ভারতের অভ্যন্তরে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা সূত্রের দাবি, পাকিস্তান থেকে পরিচালিত একটি সাইবার হামলায় ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ গ্রিড অচল হয়ে গেছে, যার ফলে দেশের বিশাল অংশে অন্ধকার নেমে এসেছে।
এছাড়া, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, রাজৌরি অঞ্চলে পাকিস্তানের মর্টার হামলায় এক সরকারি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেছেন, ভারতের কিছু ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে কিছু ঘাঁটিতে পৌঁছেছে ঠিকই, তবে সেগুলোর আঘাতে কোনো বিমান বা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সম্পদ ধ্বংস হয়নি।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় এবং ভবিষ্যতের জন্য আরও বড় সংঘাতের শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
Comments
Post a Comment