অনবদ্য পারফরমেন্সে সাকিবকে পেছনে ফেলে জাদেজার পাশে বসলেন মিরাজ
টেস্ট ক্রিকেটে দুর্দান্ত এক মাইলফলকে পৌঁছালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাট হাতে ২ হাজার রান এবং বল হাতে ২০০ উইকেটের ‘ডাবল’ গড়েছেন তিনি, তাও বাংলাদেশের দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে। এই কীর্তি গড়তে তিনি খেলেছেন মাত্র ৫৩টি ম্যাচ, যেখানে সাকিব আল হাসানের লেগেছিল ৫৪টি।
চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি করার সঙ্গেই এই অর্জনের স্বাদ পান মিরাজ। তার আগেই বল হাতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ২০০ উইকেটের ঘরে। এ ম্যাচে ব্যাট করতে নামার সময় তার নামের পাশে রান ছিল ১,৯৬৪। অর্থাৎ, ৩৬ রান করলেই তিনি স্পর্শ করতেন দুই হাজারের মাইলফলক—যা তিনি ছুঁয়েছেন শতক হাঁকানোর পথেই।
মিরাজের আগমনের সময় বাংলাদেশের ইনিংস ছিল চাপে না হলেও ভঙ্গুর অবস্থায়। ২৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসা দলকে সামাল দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। মুশফিক ও নাঈম দ্রুত আউট হয়ে গেলেও সঙ্গ দেন তাইজুল ও পরে অভিষিক্ত পেসার তানজিম হাসান সাকিব। নবম উইকেটে তানজিমের সঙ্গে গড়েন ৯৬ রানের জুটি।
শেষ উইকেটে ক্রিজে ছিলেন হাসান মাহমুদ। তখনই চাপে পড়েছিল পুরো ড্রেসিংরুম—সেঞ্চুরির আগে মিরাজ আউট হয়ে যান কিনা! তবে দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় সেই ভয় কাটে এবং মিরাজ তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক (১০৪ রান, ১৬২ বল)।
এই কীর্তির মাধ্যমে মিরাজ জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের এক অভিজাত ক্লাবে। তার আগে মাত্র চার জন ক্রিকেটার এই ডাবল পূরণ করেছেন কম ম্যাচে:
-
ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড) – ৪২ ম্যাচ
-
ইমরান খান (পাকিস্তান) – ৫০ ম্যাচ
-
কপিল দেব (ভারত) – ৫০ ম্যাচ
-
রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত) – ৫১ ম্যাচ
-
মেহেদী হাসান মিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা – ৫৩ ম্যাচ
-
সাকিব আল হাসান – ৫৪ ম্যাচ
এই তালিকায় সাকিবকে পেছনে ফেলে এখন বাংলাদেশের দ্রুততম অলরাউন্ডার মিরাজ। তার এই কীর্তি শুধু পরিসংখ্যানে নয়, পারফরম্যান্সেও দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে।
Comments
Post a Comment