নিষিদ্ধ ইসুতে উল্টো বিসিবিকে প্রশ্ন ছুড়ে তামিম ইকবাল যা বলেন
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেন শুক্রবার সকাল থেকেই রূপ নিয়েছিল তারকা ক্রিকেটারদের মিলনমেলায়। বেলা ১১টার দিকে মাঠে প্রবেশ করেন তামিম ইকবাল। তার পর একে একে যোগ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাঈম শেখ ও শরিফুল ইসলাম। তামিমের ডাকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান, সাব্বির রহমান, শামীম হোসেন পাটোয়ারীসহ আরও অনেকে।
গুঞ্জন ছিল, ডিপিএলে তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে ক্রিকেটারদের এই জমায়েত। হৃদয় বর্তমানে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক। তামিম ইকবাল অসুস্থ হয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার পর তার জায়গায় নেতৃত্বে আসেন হৃদয়।
এদিন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বসেন খেলোয়াড়রা। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, “হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে যা হচ্ছে, তা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। একই অপরাধে একজন খেলোয়াড়কে বারবার শাস্তি দেওয়া হাস্যকর।”
তিনি আরও বলেন, “প্রথমে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা, পরে তা এক ম্যাচে কমানো, আবার খেলানোর পর ফের নিষেধাজ্ঞা—এসবই বিশৃঙ্খল। প্রশ্ন হলো, বিসিবি যদি তাকে খেলার অনুমতি দিয়েই থাকে, তবে সে শাস্তি ভোগ করেছে। এরপর কীভাবে আবার শাস্তি পেতে পারে?”
তামিমের ভাষ্য, তারা বিষয়টি বোঝাতে গিয়েছিলেন বিসিবিকে—এতে খেলোয়াড়দের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। “আমরা শুধু চেয়েছি বোঝাতে যে আমরা কী অনুভব করছি,” যোগ করেন তিনি।
তাওহীদ হৃদয় আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে ডিপিএলে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন। পরে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ নিয়ম সংশোধন করে এক ম্যাচে শাস্তি কমায়। তবে এর সমালোচনার মুখে টেকনিক্যাল কমিটি সিদ্ধান্ত বাতিল করে আবারও এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
গত ১২ এপ্রিল মিরপুরে মোহামেডানের এক ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে আচরণগত সমস্যার কারণে হৃদয়ের নামের পাশে যুক্ত হয় ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট। এর ফলে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে আম্পায়ারদের সমালোচনার কারণে তাকে আবার এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
তবে, নিয়ম অনুযায়ী সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে না পারার কথা থাকলেও, ২০ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ম্যাচে মোহামেডানের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় হৃদয়কে। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক ও অসন্তোষ।
Comments
Post a Comment