বিসিবির চাকরি ছাড়তে চাওয়া নিয়ে সৈকতের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা জানা গেল
‘দেশের সেরা আম্পায়ার’ পরিচয় ছাপিয়ে শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত এখন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের গর্ব। গত বছরই তিনি জায়গা করে নিয়েছেন আইসিসির এলিট আম্পায়ার প্যানেলে। বিশ্বকাপ, বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের মতো মর্যাদাপূর্ণ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তাকে ঘিরে একটি গুঞ্জন ছড়ায়—বিসিবির চাকরি ছাড়তে চাইছেন এই অভিজ্ঞ আম্পায়ার।
গুঞ্জনের পেছনে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক। ডিপিএলের এক ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের কারণে হৃদয়ের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা ও ডিমেরিট পয়েন্টসহ দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে আপিলের প্রেক্ষিতে চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট বাতিল করে শাস্তি কমিয়ে আনা হয়। এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সৈকত।
সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি বিসিবিতে চাকরি ছাড়ার চিঠি দিয়েছেন বলে জানা যায়। ফলে আজ (বুধবার) সৈকতের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। বৈঠক শেষে মিঠু জানান, সৈকতের সঙ্গে ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
এর মানে, ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং চালিয়ে যাচ্ছেন সৈকত। পাশাপাশি, তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তির পরিবর্তিত রায় পুনর্বহাল হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, বিসিবির আচরণবিধি অনুযায়ী ৪ থেকে ৭ ডিমেরিট পয়েন্টে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা হয়ে থাকে। হৃদয় পেয়েছিলেন ৭ পয়েন্ট, যার ফলে তিনি দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তবে আপিলের পর ৪ পয়েন্ট তুলে নেওয়া হয়, ফলে তার নিষেধাজ্ঞা কমে এক ম্যাচে দাঁড়ায়—আর এই সিদ্ধান্তেই মূলত অসন্তুষ্ট ছিলেন সৈকত।
Comments
Post a Comment